সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
অবিভক্ত বাংলায় মেহেরপুর একটি প্রাচীন জনপদ। গঙ্গা-পদ্মার-র শাখা, প্রমত্তা ভৈরব নদের পূর্ব তীরবর্তী এই জনপদের নাম করণের সাথে জড়িয়ে আছে নানা কিংবদন্তি। জগৎখ্যাত নানা মুনি-ঋষি, সাধক মহাপুরুষ আর সাধু-দরবেশের স্মৃতি বিজড়িত এই সুপ্রাচীন জনপদটি ১৮৬৯ সালে মিউনিসিপ্যালিটির মর্যাদা লাভ করে।
দেশ বিভাগের পূর্ব হতেই মেহেরপুর মহকুমা শহর হিসেবে ইহার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সংগ্রামী ইতিহাসের সাথে বৈদ্যনাথতলা খ্যাত মুজিবনগরকে বুকে ধারন করে এই পৌরসভা স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িত হয়। পরবর্তীতে ঐতিহাসিক মুজিবনগরের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিগনিত হয়।
পৌরসভার অর্জন
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এ পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয় এবং ২০০১ সালে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করে। গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর স্থানীয় সরকার বিভাগের মূল্যায়ন সেল কর্তৃক পর পর তিনবার এই পৌরসভা প্রথম স্থান অধিকার করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য সেবা পৌরসভা হিসেবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং স্বর্ণপদক সহ ক্রেষ্ট সম্মাননা পায়।
এই পৌরসভায় মোট নির্বাচিত ৯ জন কাউন্সিলর, ৩জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর ও ১ জন মেয়র নিয়ে পৌর পরিষদ গঠিত।
মেহেরপুর জেলা ২৩.৪৪/ থেকে ২৩.৫৯/ ডিগ্রী অক্ষাংশ এবং ৮৮.৩৪ থেকে ৮৮.৫৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের পশ্চিমাংশের সীমান্তবর্তী একটি পৌরসভা।
মেহেরপুর পৌরসভার অবস্থান
পূর্বে- কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা সড়ক, পশ্চিমে- ভৈরব নদী ও বুড়িপোতা ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রাম, উত্তরে- কুতুবপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রাম এবং দক্ষিণে- আমদহ ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রাম।