Allah is Great

Telephone: +88079162329

মেহেরপুর পৌরসভায় বেগম রোকেয়া দিবস পালন

Meherpur Pourashava
0 comments
GAP

আওতায় ‘নারী ও শহুরে দরিদ্রদের সমতা এবং অন্তর্ভূক্তি’ অংশের জেন্ডার এ্যাকশন প্ল্যান (এঅচ) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মেহেরপুর পৌরসভায় নারী ও শিশু বিষয়ক স্থায়ী কমিটির নেতৃত্বে ২৯ ডিসেম্বর’২০১৯ ইং তারিখ এক বর্নাঢ্য র‌্যালী ও র‌্যালী শেষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। র‌্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার মাননীয় মেয়র জনাব মোঃ মাহফুজুর রহমান রিটন। উক্ত র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন অত্র পৌরসভার নারী ও শিশু বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জনাবা হামিদা।

মহিয়সি নারী বেগম রোকেয়া স্বরণে আয়োজিত এই র‌্যালীতে অংশগ্রহনকারীগন লাল ক্যাপ মাথায় দিয়ে, নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে, ব্যান্ডপার্টির বাজনার সাথে তাল মিলিয়ে, মাইক ও হ্যান্ড মাইকসহ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে পৌরসভা চত্বরে সমবেত হয়ে সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় যাত্রা শুরু হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় আবার পৌরসভা চত্বরে এসে র‌্যালীটি শেষ হয়।
এই র‌্যালীতে অংশগ্রহন করেন মেহেরপুর পৌরসভার সম্মানীত প্যানেল মেয়র জনাব মোঃ শাহিনুর রহমান, নারী ও শিশু বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য, পৌরসভার সকল কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌরসভার সচিব, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত নারী ও পুরুষসহ প্রায় দুইশতাধিক ব্যক্তি। র‌্যালী থেকে নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকযোগে বিভিন্ন শ্লোগান প্রচার করা হয়।

র‌্যালি শেষে পৌরসভা চত্বরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী ও শিশু বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাবা হামিদা। সভায় অত্র পৌরসভার সচিব জনাব মোঃ তফিকুল আলম বলেন, মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জীবনি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি আজীবন নারী শিক্ষার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তার প্রচেষ্টায় আমাদের দেশে নারী শিক্ষায় এত সফলতা। বর্তমানে নারীদের আর পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে এই সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। অবৈতনিক শিক্ষার পাশাপাশি নারীদের বিভিন্ন বৃত্তি ও উপবৃত্তি চালু আছে। আমাদের সকলের উচিত মেয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>